|
সূত্র : গুগল |
সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আপনার ছবিতে রবীন্দ্র সংগীত কেন? তিনি উত্তরে বলেছিলেন " কেন নয়! রবীন্দ্র সংগীত হলো সেই স্পর্শমণি, যার ছোঁয়ায় সবকিছু সোনা হয়ে যায়। আমার ছবিতে যদি কখনো সেই গান ঠিক মত ব্যবহার করে থাকি। সে তো আমারই সৌভাগ্য।" একের পর এক খলনায়ক বিহীন ছবি করে যাওয়া এবং তার মধ্যে বাঙালি জীবন ও সম্পর্কের মিষ্টি রসদকে তুলে ধরে, নিতান্তই সাধারণ গল্পগুলিকে সিনেমা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক , সবার প্রিয় তনুবাবু - তরুণ মজুমদার। |
সূত্র : গুগল ; সিনেমা : কাঁচের স্বর্গ |
গান পাগল বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঠাকুরের থেকে কম কিছু ভাবেনা। "কাঁচের স্বর্গ" যার শুটিং হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজে, প্রথম দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল 'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়'। তরুণবাবু রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং সিনেমার অনুভবকে একই তারে জুড়ে দিলেন। তারপর একের পর এক ছবিতে ব্যবহার করে গেছেন মর্মস্পর্শী রবীন্দ্র সংগীতগুলি। আর তার সাথে জুটি বেঁধেছিলেন তৎকালীন সংগীত জগতের অন্যতম একজন প্রাণপুরুষ - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
|
সূত্র : গুগল ; সিনেমা : কুহেলি |
তার পরবর্তী যাত্রায় 'নিমন্ত্রণ' ছবিতে 'দূরে কোথাও দূরে দূরে' কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে শোনা গেছে। এরপর সেই অন্য স্বাদের ছবি - 'কুহেলি'। অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌসুমী চ্যাটার্জী এবং মহুয়া রায়চৌধুরীর মত দেবশ্রী রায়কেও তনুবাবুই খুঁজে পেয়েছিলেন। 'মেঘের কোলে রোদ হেসেছে' তে শিশুশিল্পী দেবশ্রী রায় নাচের দৃশ্যের নজির বিরল। রাজকমল কলা মন্দিরে তিনি গিয়েছিলেন এই ছবিতে আরো একটি গান করানোর জন্য - হেমন্ত-লতার 'তুমি রবে নীরবে', যার সুর বাঙলার ঘরে ঘরে আজও শোনা যায়।
|
সূত্র : গুগল; সিনেমা: দাদার কীর্তি |
|
সূত্র : গুগল; সিনেমা : ঠগিনী' |
লতাজী এবং কবিতা কৃষ্ণমূর্তি শ্রীমান পৃথ্বীরাজের জন্য গাইলেন ' সখী ভাবনা কাহারে বলে'। তারপর দাদার কীর্তিতে 'চরণ ধরিতে', 'এই করেছো ভালো' এবং অরুন্ধতী হেমচৌধুরীর 'বধূ কোন আলো' বাঙলা ছবিতে আলাদাই মাত্রা আনল। 'ঠগিনী' ছবিতে প্রথম অন্যরকম ঘটনা ঘটল। অনুপ কুমার হেমন্তের গান শুনছেন, গাইছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ; আবার তার সাথেই অনুপ কুমারও লিপসিং করছেন - তবে তার গলাটি গাইলেন সুশীল মল্লিক - 'যৌবন সরসী নীরে'।
|
সূত্র : গুগল; সিনেমা : ভালোবাসা ভালোবাসা |
কিছুদিন আগেই মারা যান সুমিত্রা সেন। তার কন্ঠে 'কাঁচের স্বর্গ'-তেই আগুনের পরশমণিতে কোরাস গাইয়েছিলেন তরুণবাবু। আরেকটা সুপারহিট ছবি ছিল 'ভালোবাসা ভালোবাসা', 'তোমার কাছে এই বর মাগী','হার মানা হার', 'মম চিত্তে' - এসমস্ত গানগুলি দর্শকদের হৃদয় জয় করেছিল। এরইমধ্যে একটা ব্যাতিক্রম বলতেই হবে কারণ তা আমার ব্যক্তিগতভাবে প্রিয়। আগমন সিনেমায় ব্যবহৃত নজরুলগীতি 'শূন্য এ বুকে পাখি মোর' হৈমন্তী শুক্লার কন্ঠে।
|
সূত্র : গুগল ; সিনেমা : আলো |
এরপর আধুনিক ছবি দের মধ্যে আলো , চাঁদের বাড়ি , ভালবাসার বাড়ি, ইত্যাদি ছবিতে শুধুই রবীন্দ্র সংগীতের অনবদ্য ব্যবহার করেছিলেন তরুণবাবু। গানের মাধ্যমে, গল্পপ্রিয় বাঙালিকে নতুন প্রেম, প্রতারণা, বিপ্লব, রাজনীতি, সাংসারিক বেদনা, একান্নবর্তীর গোলোযোগের চিত্রনাট্যের মধুররূপ উপহার দিয়েছিলেন তিনি। তরুণ মজুমদারের সুখের সিনেমার যুগ কাটিয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্র।
A blog written by Sreya Mukherjee
For more interesting facts about cinemas, keep following 📝✒️
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন